অনেকে বলে যে, রাসূলুল্লাহ(সা) তার
বিরুদ্ধে কটাক্ষকারীদের সবসময় মাফ করে দিয়েছেন - এটা একটি মিথ্যা কথা, রাসূলুল্লাহ(সা) অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমা করেছেন আবার অনেক
ক্ষেত্রে চরম শাস্তি দিয়েছেন (বিশেষত: মাদানী জীবনে)। মাফ করার কথাটি
যারা বলেন তারা সাধারনত উদারহন হিসাবে
তায়েফের ঘটনা বলেন। কিন্তু, মুদ্রার অপর পিঠও কিন্তু আছে।
যেমন: সাহাবাদের স্ত্রীদের নিয়ে অশ্লীল কবিতা লেখার জন্য এবং কোরাইশবাসীদের
সাথে গোপন চুক্তি করার জন্য রাসূলুল্লাহ(সা) তার শত্রু কা’ব ইবনে
আশরাফকে হত্যার হুকুম দিয়েছিলেন এবং ইবনে মাসালামাহ(রা) নামাক সাহাবী তাকে হত্যা
করেছিল । এছাড়া প্রিয়নবী
মুহাম্মাদ(সা) মক্কা বিজয়ের পর সাধারণভাবে সবাইকে ক্ষমা করে দিলেও কিছু মানুষকে
হত্যা করতে হুকুম দিয়েছিলেন এমনকি তারা যদি কাবার গিলাফ ধরে ঝুলন্ত অবস্থাতেও
থাকে। এরকম কিছু মানুষের মধ্যে ছিলো আব্দুল্লাহ ইবনে খাতাল ও তার দুই ক্রীতদাসী – কারণ তারা
আল্লাহ্র রাসূলের বিরুদ্ধে খারাপ গান গাইত। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, কোনও
ব্যক্তি আল্লাহ্ ও রাসূলুল্লাহ(সা) এর কটাক্ষ করলে তার শাস্তি দিতে হবে ঠিক,
কিন্তু কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না, রাষ্ট্রীয় আইনেই বিচার করতে হবে।
মাদানী জীবনে রাসূলুল্লাহ(সা) বিচারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন বিধায় উনি একক
সিদ্ধান্তে কাউকে হত্যার হুকুম দিতে পারতেন।
এই বইয়ে ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন মহানবী(সা) কে কটাক্ষ করার শাস্তি। এটা তাঁর The Dust will never Settle Down লেকচার এর বাংলা অনুবাদ।
No comments:
Post a Comment